
প্রেইং ম্যান্টিড হল আমাদের বেশ পরিচিত তেলাপোকা এবং উইপোকার জাতভাই। অদ্ভুত কিছু বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে প্রাণীজগতে এর রয়েছে অন্যরকম কদর। এর শিকারের পারদর্শিতাই মূলত সবচাইতে চটকদার। গাছপালার সবুজের মাঝে মিশে থাকা এই পোকাকে সহজে খুঁজে বের করা যায় না। দেখতে পাতার মত লাগে বলে নিশ্চিন্তে অন্যান্য পোকারা এর হাতের নাগালে চলে আসে। ফুলের মাঝে পাপড়ির মত লুকিয়ে থাকা সাদা ম্যান্টিডও দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও প্রেইং ম্যান্টিড নিজের ঘাড়ের ওপর মাথাটিকে ১৮০ ডিগ্রি ঘোরাতে পারে বলে শিকার খুঁজে বের করতে এর কোনও সমস্যাই হয় না। তবে বড় বড় দুটো চোখ থাকলেও ম্যান্টিডের কান মোটে একটি এবং এটি অবস্থিত এর পেটের সামনের অংশে। শিকার ধরার জন্য এদের আছে বেশ শক্তিশালি কাঁটাযুক্ত হাত/ সামনের পা যেটা তারা বেশিরভাগ সময়ে গুটিয়ে রাখে।মথ, ফড়িঙ, ঝিঁঝিঁপোকা এবং বিভিন্ন মাছি এদের কবলে পড়ে প্রাণ খোয়ায়। বড় আকৃতির ম্যান্টিডগুলো কাঁকড়াবিছে, ব্যাঙ, মাছ, ছোট পাখি এমনকি সাপও ধরে খায়।
শুধু তাই নয়, প্রাপ্তপবয়স্ক মেয়ে ম্যান্টিডের রয়েছে রাক্ষুসে স্বভাব। সাধারণত ছেলে ম্যান্টিডগুলো মেয়েদের থেকে আকারে কিছুটা ছোট হয়। একটি ছেলে ম্যান্টিড যখন মিলনের আশায় মেয়ে ম্যান্টিডের পিঠের ওপর এসে পড়ে, তখন নিজের শক্তিশালী সামনের পা দিয়ে এই ছেলে ম্যান্টিডকে টেনে সামনে নিয়ে আসে মেয়ে ম্যান্টিড এবং সেই প্রেমিককে দিয়েই সম্পন্ন করে ভুরিভোজ। কখনো কখনো মিলন সম্পন্ন হবার আগে আবার কখনো পরে বেচারা প্রেমিকের এই দশা হয়। এই কারণে দেখা যায়, অনেক সময়ে ছেলে ম্যান্টিডগুলো ক্ষুধার্ত মেয়ের চাইতে ভরপেট খাওয়া মেয়ে ম্যান্টিডের সাথে মিলনে বেশি আগ্রহী হয়।