• Latest News

    পৃথিবীর ভয়ংকরতম কিছু নারীর কথা..জানা অজানা MulTifarioUs GLobe

    কাউন্টেস এলিজাবেথ ব্যথোরী

     “ব্লাড কাউন্টেস” নামেই সমাধিক পরিচিত। সুন্দরী যুবতীদের রক্তে গোসল করা উনার খুব স্বাভাবিক একটি দৈনদিন্দ কাজ ছিল। মাঝে মাঝে শখ করে রক্তও পান করতেন, এগুলো করার অন্যতম কারন ছিল অনন্ত যৌবন পাওয়া। ওনার রক্ত পান করার জন্য বাস্তব জীবনে উনি ভ্যাম্পায়ার উপাধি পেয়েছিলেন। বলা হয়ে থাকে ব্রাম ষ্টোকার ড্রাকুলা উপন্যাসের নারী ভ্যাম্পায়ার চরিত্রর ধারনা উনার কাছ থেকে পেয়েছিলেন। স্বামীর কাছ থেকে কয়েকটি যুবতী উপঢৌকন পেয়েছিলেন ব্যাথোরী তার বিবাহ বার্ষিকীতে যেন তাদের রক্ত পান করা যায়।
    বেলে সরানসেন গুন্নেস
    নরওয়েতে জন্ম গ্রহনকারী এই নারী ইতিহাসে “ব্লাক উইডো” নামে পরিচিত।প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর আমেরিকা গমন করেন। বলা হয়ে থাকে স্বামী এবং তিন কন্যা সবার মৃত্য জন্য বেলে সরানসেন গুন্নেস দায়ী, এদের মৃত্যুর পর বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেন। এরপর একটি নির্জন বাড়ি কিনে ওখান থেকে তিনি বিপত্নীক মধ্যবয়স্ক পুরুষদের প্রেমপত্র দিতেন, এরপর বাড়ীতে ডেকে এনে প্রেম এর ফাদে মেরে ফেলতেন। ঊনি সর্বসাকুল্যে মাত্র ৪২ জনকে খুন করেছিলেন। ঊনার মৃত্যু নিয়ে এখনও রহস্য বিরাজ করছে।

    জেন টপান
    জলি জেন নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন, পেশায় নার্স ছিলেন। এতিম টপান ছোট কালে এতিম খানার নির্মম পরিবেশে মানুষ হন। ধারনা করা হয় এই নির্মমতাই তাকে সিরিয়াল কিলার হিসাবে তৈরি করে। হাসপাতালে কোন রোগীকে খুন করার আগে তার সাথে দৈহিক ভাবে আনন্দ নিতেন তারপর একফাকে রোগীটিকে খুন করে ফেলতেন। খুন করার জন্য জেনের প্রিয় অস্ত্র ছিল বিষ। ৩১টি খুন করার পর জলি জেন ধরা পরে, পরে পাগল সাবাস্ত হয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানসকি চিকিৎসালয়ে ছিলেন

    এইলিন উরন্স
    ছোটবেলার অবহেলাই এইলিন উরন্সকে সেরিয়াল কিলার হিসাবে আত্নপ্রাকাশ করতে বাধ্য করে। ১৩ বৎসর বয়সে ধর্ষিতা হয়ে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন, ১৫ বৎসরে নানার বাড়ী থকে বিতাড়িত। এরপর ৭০ বৎসর এর বুড়োকে বিয়ে করেন ১৭ বৎসরে। পরে যৌনকর্মী হিসাবে কাজ সুরু করেন, জানা মতে ৮ জন কে খুন করেন।২০০৩সালে হলিঊডে চার্লস থেরন অভীনিত ব্লক বাষ্টার হিট মুভি মনষ্টার আসলে এইলিন উরন্স এর জীবনি

    সান্দ্রা আভিলা বেল্ট্রন
    ড্রাগ কুইন অভ প্যাসিফিকা নামে বেশি পরিচিত, মেক্সিকান ড্রাগ কর্টেলের এক মাত্র রানী। সরাসরি না হলেও অসংখ্য মানুশকে মৃত্যুর জন্য সান্দ্রাকে দায়ী করা হয়, একে নিয়ে গান বাধাও হয় এর সৌন্দর্য্যর জন্য। ২০০৭ সালে আমেরিকান পুলিশের হাতে বন্দী হয়ে এখন জেলখানায় আছে।

    রোজমেরী ওয়েষ্ট
    রোজ নামেই বেশি পরিচিত ছিল। নিজের কন্যাও তার হাত থেকে রেহাই পায় নাই, ব্রিটেন গ্লুচেষ্টার ২৫, ক্রমোয়েল বাড়ীখান “হাউজ অভ হরর” নামে পরিচিত, এখানেই রোজ থাকত আসলে রোজ এর সাথে তার স্বামী ও এই সিরিয়াল কিলিং এ সাহায্য করত, রাতের আধারে রোজ শিকারে বের হত বাসায় নিয়ে আস্ত সুন্দর স্বাস্থ্যবান কোন ছেলে তারপর তার সাথে মিলিত হত, চুড়ান্ত আনন্দের পরেই সেই ছেলের জীবনে নেমে আসত মৃত্যুর প্রশান্তি। জানা মতে ১০ জন রোজ এর হাতে খুন হয়।

    পুষ্পাদিদি
    ভয়াবহ মায়াবতী টাইপের রুপসী ছিল। বাসা ছিল ভোলা। আমার থেকে বছর চারের বড় ছিলেন, আমি তখন ক্লাশ ৯ এ পড়ি প্রতিদিন সকালে গলায় কাপড় জড়িয়ে আমাদের বাসার সামনে থেকে বেল ফুল তুলে নিয়ে যেতেন পুজোর জন্য, আর আমার সেই কৈশর হৃদয়কে খুন করে যেতেন, শুধু আমকে না আমার মত আরো অনেকেই ওনার অজানতে ওনার দ্বারা খুন হয়েছেন।
    খ্রীষ্টীয় নতুন বছরে সবাই ভাল থাকুন, সুখে থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। আনন্দ। আনন্দ
    • Blogger Comments
    • Facebook Comments
    Item Reviewed: পৃথিবীর ভয়ংকরতম কিছু নারীর কথা..জানা অজানা MulTifarioUs GLobe Rating: 5 Reviewed By: Sakir
    Scroll to Top