• Latest News

    কুরআন শরীফ-এর আয়াত শরীফ দ্বারাই ‘শবে বরাত’ প্রমাণিত -- পর্বঃ ০২

    [শবে বরাত সম্পর্কিত ইতিহাসের সবচেয়ে দলীল সমৃদ্ধ ধারাবাহিক পোস্ট]

    ========================================
    শবে বরাত বা ভাগ্য রজনীকে স্বয়ং আল্লাহ পাক স্বীয় কুরআন শরীফ-এ সূরা ‘আদ দোখান’ এর ৩-৪ নম্বর আয়াত শরীফে ليلة المبارك (বরকত পূর্ণ রাত) হিসেবে উল্লেখ করে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন-

    انا انزلناه فى ليلة مباركة انا كنا منذرين. فيها يفرق كل امر حكيم
    অর্থ: “নিশ্চয়ই আমি উহা (কুরআন শরীফ) এক রবকতপূর্ণ রাত্রিতে নাযিল করেছি। অর্থাৎ নাযিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী, ওই রাত্রিতে সমস্ত হিকমতপুর্ণ কাজসমূহের বণ্টন করা হয় তথা বণ্টনের ফায়সালা করা হয়।” (সূরা আদ দোখান-৩-৪)

    উক্ত আয়াত শরীফ-এ বর্ণিত ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’ দ্বারা অনুসরনীয় মুফাসসিরীনে কিরাম উনারা শবে বরাতকেই বুঝিয়েছেনঃ

    ১ম পর্বের পরঃ


    দলীলঃ ০২

    ليلة المباركة এর ব্যাখ্যায় বিশ্ববিখ্যাত তাফসীর, তাফসীরে মাযহারী এর ৮ম খন্ডের ৩৬৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-

    قال عكرمة هى ليلة النصف من شعبان يبرم فيه امر السنة وينسخ الاحياء من الاموات فلا يزاد فيهم ولا ينقص منهم احد. روى البغوى عن محمد بن الميسرة بن الاخفس ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال يقطع الاجال من شعبان الى شعبان حتى ان الرجل لينكح و يولد له ولقد اخرج اسمه فى الموتى.
    وروى ابو الضحى عن ابن عباس ان الله يقضى الاقضية فى ليلة النصف من شعبان ويسلمها الى اربابها فى ليلة القدر.
    অর্থ: “প্রখ্যাত ছাহাবী হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, (সূরা আদ দুখানের ৩ নম্বর আয়াত শরীফ) ليلة مباركة হচ্ছে ১৫ই শা’বানের রাত তথা শবে বরাতের রাত। এ রাত্রে সারা বৎসরের কাজ কর্মের ফায়ছালা করা হয় এবং কতজন জীবিত থাকবে ও কতজন মারা যাবে তারও ফায়ছালা করা হয়। অতঃপর এ ফায়ছালার থেকে কোন কিছু বেশি করা হয় না এবং কোন কমতিও করা হয় না। অর্থাৎ কোন প্রকারের পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা হয় না। হযরত ইমাম বাগবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেছেন, হযরত মুহম্মদ ইবনে মাইসারা ইবনে আখফাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে। তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, শা’বান মাসে পরবর্তী শা’বান মাস পর্যন্ত মৃত্যুর ফায়ছালা করে দেয়া হয়। এমনকি লোকেরা যে বিবাহ করবে, সেই বৎসর তার থেকে কত জন সন্তান জন্মগ্রহন করবে তার তালিকা এবং তার মৃত্যুর তালিকাও প্রস্তুত করা হয় ওই বৎসরে অর্ধ শাবানের রাতে তথা শবে বরাতে।
    আবুদ্বহা এর বর্ণনায় এসেছে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা তিনি বলেন, শা’বানের মাঝামাঝি অর্থাৎ ১৫ই শা’বানের রাতে তথা শবে বরাতে আল্লাহ পাক সমস্ত কিছুই ফায়ছালা করেন, আর রমাদ্বানের ক্বদর রাতে (শবে ক্বদরে) সেই ফায়ছালার তালিকা (কপি) বাস্তবায়ন করার জন্য বাস্তবায়নকারীদের কাছে অর্পণ করা হয়।

    “তাফসীরে মাযহারী” কিতাবের ৮ম খন্ডের ৩৬৭ পৃষ্ঠায় আরো উল্লেখ আছে-
    দলীলঃ ০৩
    انها ليلة النصف من شعبان ... وما روى عن القاسم بن محمد عن ابيه او عمه عن جده عن رسول الله صلى الله عليه وسلم انه قال ينزل الله جل ثناؤه ليلة النصف من شعبان الى السماء الدنيا فيغفر لكل نفس الا انسانا فى قلبه شحناه او مشركا بالله.
    অর্থ: (অনেকেই বলেছেন ليلة مباركة তথা বরকতপুর্ণ রাতই হচ্ছে অর্ধ শা’বানের রাত (১৫ই শা’বানের রাত) এবং এ রাতের বুযূর্গী সম্পর্কে হাদীছ শরীফ ও বর্ণিত আছে, হযরত মুহম্মদ ইবনে কাসিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পিতার মাধ্যমে অথবা উনার চাচার মাধ্যমে। উনার পিতা অথবা চাচা উনার পিতামহ থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি আবার হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। আর হযরত রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন অর্ধ শা’বানের (১৫ই শা’বান) রাতে মহান আল্লাহ পাক তিনি পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করেন। তবে ওই সকল লোকদের ক্ষমা করেন না যাদের অন্তরে হিংসা রয়েছে অর্থাৎ হিংসুকদের এবং আল্লাহ পাক-উনার সাথে শরীককারীদের তথা মুশরিকদেরকে ঐ অর্ধ শাবান তথা শবে বরাতে ক্ষমা করেন না।

    ১ম পর্ব।

    ধারাবাহিক চলবে =>......................
    • Blogger Comments
    • Facebook Comments
    Item Reviewed: কুরআন শরীফ-এর আয়াত শরীফ দ্বারাই ‘শবে বরাত’ প্রমাণিত -- পর্বঃ ০২ Rating: 5 Reviewed By: Sakir
    Scroll to Top