মাওলানা আবূ আহমদ হুসাইন, শান্তিবাগ, ঢাকা।
পবিত্র শবে বরাত উনার রাতে জাগ্রত থেকে বিভিন্ন প্রকারের ইবাদত-বন্দেগী করার ব্যাপারে অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাধ্যমে উৎসাহ ও নির্দেশনা মুবারক দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “এই রাতের দুরাকায়াত নামায বনী ইসরাঈলের জনৈক বুযূর্গের চারশ বৎসরের ইবাদতের চেয়েও অধিক ফযীলতপূর্ণ এবং এ রাতের ইবাদত-বন্দেগী বিশটি মক্ববুল হজ্জ উনার ছওযাব, বিশ বছর পবিত্র রোযা উনার ছওয়াব সমতুল্য।”
তবে এ রাতে কত রাকায়াত নামায পড়তে হবে তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না থাকলেও মূল মূল ও খাছ খাছ পবিত্র ইবাদত উনার মাধ্যমে এ রাত জাগরণ করলে সমস্ত ইবাদতেরই ছওয়াব পাওয়া যায়। তা নিম্নে বর্ণনা করা হলো-
প্রথমতঃ ছলাতুল ইশা উনার নামায
প্রথমে জামায়াতের সাথে পবিত্র ইশা উনার নামায পড়ে নিতে হবে। অতঃপর পবিত্র সুন্নত নামায উনার পর পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ পাঠ। (যেহেতু পবিত্র মীলাদ শরীফ স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পাঠ করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! যা নাজাত ও শাফায়াত লাভের সর্বোত্তম উত্তম মাধ্যম। কাজেই পবিত্র মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ উনার গুরুত্ব সর্বাধিক। অতঃপর দোয়া করতে হবে।
অতঃপর পবিত্র শবে বরাত উনার নামায
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে কত রাকায়াত নামায পড়তে হবে এ ব্যাপারে যদিও সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ নেই। তবে পবিত্র শবে বরাত উনার ৪, ৬, ৮, ১০, ১২ রাকায়াত নফল নামায পড়া যেতে পারে।
অতঃপর ছলাতুছ তাসবীহ উনার নামায পড়বেন
পবিত্র ছলাতুছ তাসবীহ উনার নামায পড়বেন, যার দ্বারা মানুষের সমস্ত গুনাহ-খতা ক্ষমা হয়। এই নিয়ম জানার জন্য আল বাইয়্যিনাত উনার ৯৯তম সংখ্যার সুওয়াল-জওয়াব দেখুন।
অতঃপর যিকির-আযকার করবেন যার দ্বারা দিল ইছলাহ ও ইতমিনান হয়।
অতঃপর পবিত্র কুরআন শরীফ
তিলাওয়াত করবেন
এ পবিত্র রাতে পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করবেন, যার মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার সন্তুষ্টি অর্জিত হয়। কেননা নফল ইবাদত উনার মধ্যে পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত হচ্ছে আফযল।
অতঃপর সম্ভব হলে কবর যিয়ারত করবেন
যার দ্বারা পবিত্র সুন্নত আদায় হয়। কেননা পবিত্র শবে বরাত উনার রাতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই জান্নাতুল বাক্বীতে গিয়ে কবর যিয়ারত মুবারক করেছেন ও পবিত্র দোয়া করেছেন। তবে কবর বা মাযার শরীফ যিয়ারত করতে গিয়ে সারা রাত্র ব্যয় করে দেয়া ঠিক হবে না। সম্ভব হলে পবিত্র সুন্নত উনাকে আদায়ের লক্ষ্যে নিকটবর্তী কোনো কবরস্থান যিয়ারত করে চলে আসবেন।
অতঃপর পবিত্র তাহাজ্জুদ উনার নামায
পবিত্র তাহাজ্জুদ উনার নামায পড়বেন, যা দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহান নৈকট্য হাছিল হয়। সুবহানাল্লাহ!
অতঃপর পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ ও পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ
পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ ও পবিত্র দুরূদ শরীফ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত উনাদের জন্য সবচেয়ে বড় ইবাদত ও নাজাতের মূল কারণ। সুবহানাল্লাহ! যার দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ রেযামন্দি ও সন্তুষ্টি অর্জিত হয়।
অতঃপর দোয়া-ইস্তিগফার করবেন
মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট দু’হাত তুলে মনের চাহিদানুযায়ী দোয়া করবেন, যার কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি খুশি হবেন ও উনার মহান নিয়ামত লাভে ধন্য হবেন। আর সর্বশেষ খালিছ ইস্তিগফার ও তওবা করবেন, যার মাধ্যমে বান্দার সমস্ত গুনাহ-খতা মাফ হয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ সন্তুষ্টি মুবারক অর্জিত হয়। অর্থাৎ পবিত্র শবে বরাত উনার বারাকাত, ফুয়ুজাত, নিয়ামত, রহমত, মাগফিরাত ইত্যাদি হাছিল করা যায়।
দান-ছদকা ও গরীব-মিসকীনদের খাদ্য খাওয়ানো
গরীব-মিসকীনকে দান-ছদকা করবেন ও লোকজনদের খাদ্য খাওয়াবেন, যার দ্বারা মহান হাবীবুল্লাহ লক্বব মুবারকে ধন্য হওয়া যায়। উল্লেখ্য যে, পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে যদি কেউ গরীব-মিসকীন বা অন্য কোনো ব্যক্তিকে খাওয়াতে চায় তবে এ ক্ষেত্রে হালুয়া-রুটি কিংবা গোশত-রুটি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করলে তা হবে পবিত্র খাছ সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত। কাজেই এ পবিত্র সুন্নত উনার খেয়ালে যদি কেউ তার নিজের ইবাদত-বন্দেগী ঠিক রেখে গরীব-মিসকীন ও ওইসব লোকদের জন্য যারা সারা রাত্রিতে ইবাদত-বন্দেগী করবে ও দিনে পবিত্র রোযা রাখবে তাদের ইবাদত-বন্দেগী ও পবিত্র রোযা পালনের সুবিধার্থে হালুয়া-রুটি, গোশত-রুটি, গোশত-পোলাও, কোর্মা-পোলাও, মোরগ-পোলাও, তেহারী, গোশত-খিচুরী ইত্যাদি আমাদের দেশে প্রচলিত খাদ্যসমূহের কোনো প্রকারের খাদ্যের ব্যবস্থা করে তা অবশ্যই খাছ সুন্নত আদায়ের সাথে সাথেই অশেষ বারাকাত, ফুয়ুযাত, নিয়ামত, ফযীলত ও নাজাতের কারণ হবে।
উল্লেখ্য যে, অনেক স্থানে দেখা যায় যে, তারা ছুবহে ছাদিকের পর আখিরী মুনাজাত করে থাকে। মূলত, মুনাজাত যে কোনো সময়েই করা যায়। তবে পবিত্র শবে বরাত উনার রাত্রে দোয়া কবুল করার যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তা ছুবহে ছাদিকের পূর্ব পর্যন্তই। এরপর শবে বরাত উনার রাত্র অবশিষ্ট থাকে না। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্টই বলা হয়েছে যে, “ফজর বা ছুবহে ছাদিক পর্যন্ত মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দাদের বিভিন্ন দোয়া কবুল করেন।”
অতএব, সকলের উচিত মূল মুনাজাত বা আখিরী মুনাজাত ছুবহে ছাদিকের পূর্বেই করা। অতঃপর ছুবহে ছাদিকের পূর্বে পরের দিনের পবিত্র রোযার জন্য সাহরী খেয়ে নিবে। কারণ এই পবিত্র রোযার গুরুত্ব ও তাৎপর্য এত অধিক যে, জিন-ইনসান তো বটেই এমনকি পশু-পাখি, গর্তের পীপিলিকা, সমুদ্রের অন্যান্য প্রাণীসহ মাছেরাও এ পবিত্র শবে বরাত উনার রোযা রেখে থাকে। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই আমাদের সকলেই উচিত এ পবিত্র শবে বরাত উনার রাত্রি মুবারক যথাযথভাবে পালন করে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ রেযামন্দি ও সন্তুষ্টি হাছিল করা। (আমীন)
পবিত্র শবে বরাত উনার রাতে জাগ্রত থেকে বিভিন্ন প্রকারের ইবাদত-বন্দেগী করার ব্যাপারে অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাধ্যমে উৎসাহ ও নির্দেশনা মুবারক দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “এই রাতের দুরাকায়াত নামায বনী ইসরাঈলের জনৈক বুযূর্গের চারশ বৎসরের ইবাদতের চেয়েও অধিক ফযীলতপূর্ণ এবং এ রাতের ইবাদত-বন্দেগী বিশটি মক্ববুল হজ্জ উনার ছওযাব, বিশ বছর পবিত্র রোযা উনার ছওয়াব সমতুল্য।”
তবে এ রাতে কত রাকায়াত নামায পড়তে হবে তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না থাকলেও মূল মূল ও খাছ খাছ পবিত্র ইবাদত উনার মাধ্যমে এ রাত জাগরণ করলে সমস্ত ইবাদতেরই ছওয়াব পাওয়া যায়। তা নিম্নে বর্ণনা করা হলো-
প্রথমতঃ ছলাতুল ইশা উনার নামায
প্রথমে জামায়াতের সাথে পবিত্র ইশা উনার নামায পড়ে নিতে হবে। অতঃপর পবিত্র সুন্নত নামায উনার পর পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ পাঠ। (যেহেতু পবিত্র মীলাদ শরীফ স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পাঠ করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! যা নাজাত ও শাফায়াত লাভের সর্বোত্তম উত্তম মাধ্যম। কাজেই পবিত্র মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ উনার গুরুত্ব সর্বাধিক। অতঃপর দোয়া করতে হবে।
অতঃপর পবিত্র শবে বরাত উনার নামায
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে কত রাকায়াত নামায পড়তে হবে এ ব্যাপারে যদিও সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ নেই। তবে পবিত্র শবে বরাত উনার ৪, ৬, ৮, ১০, ১২ রাকায়াত নফল নামায পড়া যেতে পারে।
অতঃপর ছলাতুছ তাসবীহ উনার নামায পড়বেন
পবিত্র ছলাতুছ তাসবীহ উনার নামায পড়বেন, যার দ্বারা মানুষের সমস্ত গুনাহ-খতা ক্ষমা হয়। এই নিয়ম জানার জন্য আল বাইয়্যিনাত উনার ৯৯তম সংখ্যার সুওয়াল-জওয়াব দেখুন।
অতঃপর যিকির-আযকার করবেন যার দ্বারা দিল ইছলাহ ও ইতমিনান হয়।
অতঃপর পবিত্র কুরআন শরীফ
তিলাওয়াত করবেন
এ পবিত্র রাতে পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করবেন, যার মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার সন্তুষ্টি অর্জিত হয়। কেননা নফল ইবাদত উনার মধ্যে পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত হচ্ছে আফযল।
অতঃপর সম্ভব হলে কবর যিয়ারত করবেন
যার দ্বারা পবিত্র সুন্নত আদায় হয়। কেননা পবিত্র শবে বরাত উনার রাতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই জান্নাতুল বাক্বীতে গিয়ে কবর যিয়ারত মুবারক করেছেন ও পবিত্র দোয়া করেছেন। তবে কবর বা মাযার শরীফ যিয়ারত করতে গিয়ে সারা রাত্র ব্যয় করে দেয়া ঠিক হবে না। সম্ভব হলে পবিত্র সুন্নত উনাকে আদায়ের লক্ষ্যে নিকটবর্তী কোনো কবরস্থান যিয়ারত করে চলে আসবেন।
অতঃপর পবিত্র তাহাজ্জুদ উনার নামায
পবিত্র তাহাজ্জুদ উনার নামায পড়বেন, যা দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহান নৈকট্য হাছিল হয়। সুবহানাল্লাহ!
অতঃপর পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ ও পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ
পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ ও পবিত্র দুরূদ শরীফ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত উনাদের জন্য সবচেয়ে বড় ইবাদত ও নাজাতের মূল কারণ। সুবহানাল্লাহ! যার দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ রেযামন্দি ও সন্তুষ্টি অর্জিত হয়।
অতঃপর দোয়া-ইস্তিগফার করবেন
মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট দু’হাত তুলে মনের চাহিদানুযায়ী দোয়া করবেন, যার কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি খুশি হবেন ও উনার মহান নিয়ামত লাভে ধন্য হবেন। আর সর্বশেষ খালিছ ইস্তিগফার ও তওবা করবেন, যার মাধ্যমে বান্দার সমস্ত গুনাহ-খতা মাফ হয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ সন্তুষ্টি মুবারক অর্জিত হয়। অর্থাৎ পবিত্র শবে বরাত উনার বারাকাত, ফুয়ুজাত, নিয়ামত, রহমত, মাগফিরাত ইত্যাদি হাছিল করা যায়।
দান-ছদকা ও গরীব-মিসকীনদের খাদ্য খাওয়ানো
গরীব-মিসকীনকে দান-ছদকা করবেন ও লোকজনদের খাদ্য খাওয়াবেন, যার দ্বারা মহান হাবীবুল্লাহ লক্বব মুবারকে ধন্য হওয়া যায়। উল্লেখ্য যে, পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে যদি কেউ গরীব-মিসকীন বা অন্য কোনো ব্যক্তিকে খাওয়াতে চায় তবে এ ক্ষেত্রে হালুয়া-রুটি কিংবা গোশত-রুটি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করলে তা হবে পবিত্র খাছ সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত। কাজেই এ পবিত্র সুন্নত উনার খেয়ালে যদি কেউ তার নিজের ইবাদত-বন্দেগী ঠিক রেখে গরীব-মিসকীন ও ওইসব লোকদের জন্য যারা সারা রাত্রিতে ইবাদত-বন্দেগী করবে ও দিনে পবিত্র রোযা রাখবে তাদের ইবাদত-বন্দেগী ও পবিত্র রোযা পালনের সুবিধার্থে হালুয়া-রুটি, গোশত-রুটি, গোশত-পোলাও, কোর্মা-পোলাও, মোরগ-পোলাও, তেহারী, গোশত-খিচুরী ইত্যাদি আমাদের দেশে প্রচলিত খাদ্যসমূহের কোনো প্রকারের খাদ্যের ব্যবস্থা করে তা অবশ্যই খাছ সুন্নত আদায়ের সাথে সাথেই অশেষ বারাকাত, ফুয়ুযাত, নিয়ামত, ফযীলত ও নাজাতের কারণ হবে।
উল্লেখ্য যে, অনেক স্থানে দেখা যায় যে, তারা ছুবহে ছাদিকের পর আখিরী মুনাজাত করে থাকে। মূলত, মুনাজাত যে কোনো সময়েই করা যায়। তবে পবিত্র শবে বরাত উনার রাত্রে দোয়া কবুল করার যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তা ছুবহে ছাদিকের পূর্ব পর্যন্তই। এরপর শবে বরাত উনার রাত্র অবশিষ্ট থাকে না। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্টই বলা হয়েছে যে, “ফজর বা ছুবহে ছাদিক পর্যন্ত মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দাদের বিভিন্ন দোয়া কবুল করেন।”
অতএব, সকলের উচিত মূল মুনাজাত বা আখিরী মুনাজাত ছুবহে ছাদিকের পূর্বেই করা। অতঃপর ছুবহে ছাদিকের পূর্বে পরের দিনের পবিত্র রোযার জন্য সাহরী খেয়ে নিবে। কারণ এই পবিত্র রোযার গুরুত্ব ও তাৎপর্য এত অধিক যে, জিন-ইনসান তো বটেই এমনকি পশু-পাখি, গর্তের পীপিলিকা, সমুদ্রের অন্যান্য প্রাণীসহ মাছেরাও এ পবিত্র শবে বরাত উনার রোযা রেখে থাকে। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই আমাদের সকলেই উচিত এ পবিত্র শবে বরাত উনার রাত্রি মুবারক যথাযথভাবে পালন করে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ রেযামন্দি ও সন্তুষ্টি হাছিল করা। (আমীন)