ছোটবেলার শবে বরাত ছিল আমার কাছে উৎসবের মত।এই রাত্রে আম্মা অনেক রাত পর্যন্ত বাইরে থাকার অনুমতি দিত।বলাই বাহুল্য নামাজ পড়াটা ছিল একটা উছিলা মাত্র।মোটামুটি কিছুক্ষন নামাজ পড়ে মিলাদের মিষ্টিটা নিয়েই বন্ধুরা মিলে বেড়িয়ে পরতাম।বায়েজিদ বোস্তামির মাজার থেকে শুরু করে,অক্সিজেন,বিএমএ,ক্যান্টনমেন্ট,চিটাগাংয়ের চিপা চাপা সব জায়গায় ঢূ মারতাম।মাঝে মাঝে টিনের চালের বাসা দেখলে ঢিল মারতাম,কাগজের বোমা কোন বাসার জানালার ধারে ফুটিয়ে দৌড়,পরে ফজরের নামাজ পরে মসজিদে ব্যাপক ঘুম দিয়ে বাড়ি ফিরতাম।ঢাকায় আসার পর সবচেয়ে বেশী হত রাস্তার লাইট ভাঙ্গা।তারপর চালের রুটি আর হালুয়া খাওয়া,কত মজা করতাম।আস্তে আস্তে সব চেঞ্জ হয়ে গেল।বড় হয়ে যাওয়ার দোষে এখন আর আর শবে বরাতের রাতে বের হওয়া হয় না।চালের রুটি আর হালুয়াতেও অরুচি,নামাজ হয়ত ধুপধাপ বাসায় সেরে ফেলি।দিনগুলা আগের মতই থাকে,শুধু আমরা আস্তে আস্তে বদলাতে থাকি,একটা সময় দেখি আমাদের আর কোন কিছুতেই মজা নেই।এটাই বড় হওয়ার জ্বালা।
নষ্টালজিক শবে বরাত
ছোটবেলার শবে বরাত ছিল আমার কাছে উৎসবের মত।এই রাত্রে আম্মা অনেক রাত পর্যন্ত বাইরে থাকার অনুমতি দিত।বলাই বাহুল্য নামাজ পড়াটা ছিল একটা উছিলা মাত্র।মোটামুটি কিছুক্ষন নামাজ পড়ে মিলাদের মিষ্টিটা নিয়েই বন্ধুরা মিলে বেড়িয়ে পরতাম।বায়েজিদ বোস্তামির মাজার থেকে শুরু করে,অক্সিজেন,বিএমএ,ক্যান্টনমেন্ট,চিটাগাংয়ের চিপা চাপা সব জায়গায় ঢূ মারতাম।মাঝে মাঝে টিনের চালের বাসা দেখলে ঢিল মারতাম,কাগজের বোমা কোন বাসার জানালার ধারে ফুটিয়ে দৌড়,পরে ফজরের নামাজ পরে মসজিদে ব্যাপক ঘুম দিয়ে বাড়ি ফিরতাম।ঢাকায় আসার পর সবচেয়ে বেশী হত রাস্তার লাইট ভাঙ্গা।তারপর চালের রুটি আর হালুয়া খাওয়া,কত মজা করতাম।আস্তে আস্তে সব চেঞ্জ হয়ে গেল।বড় হয়ে যাওয়ার দোষে এখন আর আর শবে বরাতের রাতে বের হওয়া হয় না।চালের রুটি আর হালুয়াতেও অরুচি,নামাজ হয়ত ধুপধাপ বাসায় সেরে ফেলি।দিনগুলা আগের মতই থাকে,শুধু আমরা আস্তে আস্তে বদলাতে থাকি,একটা সময় দেখি আমাদের আর কোন কিছুতেই মজা নেই।এটাই বড় হওয়ার জ্বালা।